এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:
কৃষি ক্ষেত্রে : পাট থেকে আশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে। দই তৈরি করতে ও ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে। কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অনেক। তাছাড়া আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য ব্যাকটেরিয়া করে।
মানব জীবনে : মানবদেহে ভিটামিন (ভিটামিন-বি, ভিটামিন-কে), ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া সহায়তা করে। তাছাড়া মৃত জীব দেহ পঁচাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ১ : পৃথিবীতে অসংখ্য ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবা আছে। এদের সবার গঠন ও বৈশিষ্ট্য এক রকম নয়। এদের মধ্যে প্রকৃতিতে কিছু ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া মানুষের উপকার ও অপকার করে থাকে।
ক) এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়?
খ) ব্যক্টেরিয়াকে আদি কোষী বলা হয় কেন?
গ) উদ্দীপকের প্রথম অণুজীবটি উদ্ভিদের কোন কোন রাে
গ সৃষ্টি করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকের দ্বিতীয় অণুজীবটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
২। ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
৭ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
ক) এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়?
অ্যামিবা ঘটিত আমাশয় (Amoebic dysentery, Amoebiasis)বড় ছেলে-মেয়েদের হয়ে থাকে কিন্তু ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এর প্রবণতা অত্যন্ত কম৷ পরিপাকতন্ত্রের বৃহদান্ত্রে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজীবীর সংক্রামণের ফলে হয়৷ রোগীর বারবার পাতলা পায়খানা হতে থাকে। মলের সঙ্গে মিউকাস (শ্লেষ্মাঝিল্লি) বা আম বেশি থাকে। রক্ত থাকলেও কম৷ সাধারণত ডানদিকের তলপেটে ব্যথা হয়৷
খ) ব্যক্টেরিয়াকে আদি কোষী বলা হয় কেন?
নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ দু'প্রকার। তার মধ্যে আদিকোষ ( Prokaryotic cell) অন্যতম, যার নিউক্লিয়াস সগঠিত নয়। এদের নিউক্লিউপ্লাজম, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়ার রন্ধ্র নেই। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রেও একই। তাই ব্যাকটেরিয়াকে আদি কোষী বলা হয়
গ) উদ্দীপকের প্রথম অণুজীবটি উদ্ভিদের কোন কোন রােগ সৃষ্টি করে তা ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকে প্রথম অণুজীব টির নাম হল ভাইরাস। জীবিত জীব দেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাহিরে এরা জীবনের কোন লক্ষণ দেখায় না। এ কারণেই ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী। এই অনুজীবটি মানব দেহের নানা রোগ ছাড়াও উদ্ভিদ দেহে নানা রকম রোগ সৃষ্টি করে।
যেমনঃ (ক) ধান গাছে টুংরো রোগ এই ভাইরাসের কারণে হয়। যার ফলে ধান অতি তাড়াতাড়ি ঝরে পড়ে।
(খ) তামাকের মোজাইক রোগ এই ভাইরাসের কারণে হয়। এর ফলে তামাকের পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়।
ঘ) উদ্দীপকের দ্বিতীয় অণুজীবটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকের দ্বিতীয় অণুজীব টির নাম ব্যাকটেরিয়া। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ জীবটির অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ) উদ্দীপকের প্রথম অণুজীবটি উদ্ভিদের কোন কোন রােগ সৃষ্টি করে তা ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকে প্রথম অণুজীব টির নাম হল ভাইরাস। জীবিত জীব দেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাহিরে এরা জীবনের কোন লক্ষণ দেখায় না। এ কারণেই ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী। এই অনুজীবটি মানব দেহের নানা রোগ ছাড়াও উদ্ভিদ দেহে নানা রকম রোগ সৃষ্টি করে।
যেমনঃ (ক) ধান গাছে টুংরো রোগ এই ভাইরাসের কারণে হয়। যার ফলে ধান অতি তাড়াতাড়ি ঝরে পড়ে।
(খ) তামাকের মোজাইক রোগ এই ভাইরাসের কারণে হয়। এর ফলে তামাকের পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়।
ঘ) উদ্দীপকের দ্বিতীয় অণুজীবটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকের দ্বিতীয় অণুজীব টির নাম ব্যাকটেরিয়া। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ জীবটির অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে : চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরিতে ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগানো হয়, যেমন: সাবটিলিন, পলিমিক্সিন, টেরামাইসিন ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া থেকে ওষুধ তৈরী করা হয় এবং সেই ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
কৃষি ক্ষেত্রে : পাট থেকে আশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে। দই তৈরি করতে ও ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে। কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অনেক। তাছাড়া আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য ব্যাকটেরিয়া করে।
মানব জীবনে : মানবদেহে ভিটামিন (ভিটামিন-বি, ভিটামিন-কে), ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া সহায়তা করে। তাছাড়া মৃত জীব দেহ পঁচাতে সাহায্য করে।
গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া : ব্যাকটেরিয়া জীন প্রকৌশলের মূল ভিত্তি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবের কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য পাওয়ার জন্য জীনগত পরিবর্তনের কাজে ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাবহার করা হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
কারণ - যে সব উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ অথবা অন্যান্য জৈব পদার্থ,( যেমন- গোবর, ভিজে কাঠ, ভিজে চামড়া, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি পচনশীল জৈব পদার্থ ) থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী বা স্যাপ্রোফাইট বলে।
উদাহরণ - ব্যাঙের ছাতা বা অ্যাগারিকাস, ঈস্ট, পেনিসিলিয়াম, মিউকর ইত্যাদি ছত্রাক ।
২। ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
ভাইরাসের দেহ কোষ প্রাচীর ,প্লাজমালেমা, সুগঠিত নিউক্লিয়াস ,সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই না থাকার জন্য ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়। এটি শুধু প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড নিয়ে গঠিত। অকোষীয় জীবের ভেতর প্রাথমিক সদস্য হল ভাইরাস। সংখ্যালঘু সংখ্যক জীববিজ্ঞানীরা ভাইরাসকে বিবেচনা করেন জীবিত প্রাণী হিসাবে, কিন্তু বেশিরভাগ তা মনে করেন না। তাদের প্রধান আপত্তির কারণ হল, কোন পরিচিত ভাইরাস অটোপোয়সিস (কোষ বিভাজন ও স্বসংরক্ষণ) করতে সক্ষম নয়, যার মানে হল এগুলো নিজেদের বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, এদের বংশবৃদ্ধির জন্য অন্য কোষের উপর নির্ভর করতে হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
কারণ - যে সব উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ অথবা অন্যান্য জৈব পদার্থ,( যেমন- গোবর, ভিজে কাঠ, ভিজে চামড়া, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি পচনশীল জৈব পদার্থ ) থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী বা স্যাপ্রোফাইট বলে।
উদাহরণ - ব্যাঙের ছাতা বা অ্যাগারিকাস, ঈস্ট, পেনিসিলিয়াম, মিউকর ইত্যাদি ছত্রাক ।
২। ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
ভাইরাসের দেহ কোষ প্রাচীর ,প্লাজমালেমা, সুগঠিত নিউক্লিয়াস ,সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই না থাকার জন্য ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়। এটি শুধু প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড নিয়ে গঠিত। অকোষীয় জীবের ভেতর প্রাথমিক সদস্য হল ভাইরাস। সংখ্যালঘু সংখ্যক জীববিজ্ঞানীরা ভাইরাসকে বিবেচনা করেন জীবিত প্রাণী হিসাবে, কিন্তু বেশিরভাগ তা মনে করেন না। তাদের প্রধান আপত্তির কারণ হল, কোন পরিচিত ভাইরাস অটোপোয়সিস (কোষ বিভাজন ও স্বসংরক্ষণ) করতে সক্ষম নয়, যার মানে হল এগুলো নিজেদের বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, এদের বংশবৃদ্ধির জন্য অন্য কোষের উপর নির্ভর করতে হয়।
আপনার কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টস বক্স এ লিখতে পারেন। আমরা যথাযত চেস্টা করব আপনার সঠিক উত্তর দিতে। ভালো লাগলে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
- শুভকামনায় ওয়েব স্কুল বিডি
ConversionConversion EmoticonEmoticon